বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আটপাড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ আটপাড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আলী খানের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন ফুলছড়িতে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে স্বর্ণের খোঁজে দিনরাত ইটভাটার মাটি খুঁড়াখুঁড়ি গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় দুই যুবক গ্রেপ্তার নয়ন খানকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় শিবগঞ্জ উপজেলাবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঠাকুরগাঁও জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা
চৌদ্দগ্রামে বারি-১ ও ভেরাকাটা মাল্টা চাষ করে সফল ডিগ্রী পাশ কৃষক

চৌদ্দগ্রামে বারি-১ ও ভেরাকাটা মাল্টা চাষ করে সফল ডিগ্রী পাশ কৃষক

চৌদ্দগ্রামে বারি-১ ও ভেরাকাটা মাল্টা চাষ করে সফল ডিগ্রী পাশ কৃষক

ব‍্যুরো প্রধান

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বারি- ১ ও পাকিস্তানী ভেরাকাটা মাল্টা চাষ করে সফল কৃষক দ্বীন মোঃ শামীম । ২০১৯ সালে প্রথমে তিনি চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাধীন চাটিতলা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে পতিত জমিতে প্রথমে মাল্টার চাষ শুরু করেন। এই চাষ বেশি লাভ জনক হওয়াতে তিনি পরবর্তীতে বাগান বিস্তৃতির জন্য ২০২০ সালে বরিশালের স্বরুপকাঠি থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে ৪০০ পিচ বারি ১, ও পাকিস্তানী ভেরাকাটা মাল্টার চারা রোপন করেন। পরে বাগানের প্রতিটি গাছ পরীপক্ব হলে মাল্টা ধরা আরাম্ভ করে। বর্তমানে তার বাগানের বারি ১ ও পাকিস্তানী ভেরাকাটা মাল্টা গাছের প্রতিটি ডালে থোকায় থোকায় ধরেছে প্রচুর। তার একই বাগানে সাথী হিসেবে সোভা পাচ্ছে রামভুটাম, পিচ ফল, এবাকাটো, মালবেরি, বিদেশী লংগান, ভিয়েতনাম লাল কাঠাল, হাইব্রিট কাউ, তিন ফল, চন্দ্রপবা ও চেরিফল সহ নানাজাতের বাহারি গাছ। তার আরো তিনটি বাগান রয়েছে। বাগান পরিচর্চার জন্য প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ জন লোক কাজ করে থাকে এখানে। বাগানে তারা দৈনিক সাড়ে তিনশত টাকা করে দিন মজুর হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে শামীমের বাগানে প্রায় ১৫ মন মাল্টা রয়েছে। যার আনুপাতিক বাজার মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। দৈনিক আয়ের জন্য তিনি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পৌরসভার হায়দারপূল সংলগ্ন পূর্বপাশে নিজ জমি ভরাট করে এখানে করেছেন মেয়ের নামে নওশী নার্সারী। এ নার্সারী থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা নানাজাতের ফুল ও ফল গাছ ক্রয় করে নিয়ে যান।
প্রতিদিনের সংবাদ কে দ্বীন মোঃ শামীম বলেন, ডিগ্রী পাশ করে দেশে কোন চাকরী পায়নি। তাই নিজের দুঃখ কষ্ট নিয়ে সৌদি আরবে পা রাখি। দীর্ঘ আটটি বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে শূন্যহাতে আবার দেশে আসি। কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর কোন কুল কিনারা না পেয়ে চলে যাই সিলেটে। ঔখানে একটি কোম্পানীর এগ্রো এন্ড কেফিন্যান্স এ্যাসিসট্রেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘ ১১ চাকরী করি। চাকরী করাকালিন সময়ে সিলেটের বিভিন্ন বাগান মালিকদের সাথে আমার পরিচয় হয়। সেখান থেকে বাড়িতে এসে স্বল্প পূজিঁতে প্রথমে নেমে পড়ি মাছ চাষে। অল্প কিছু লাভ হলে একই পুকুর ভরাট করে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৪০০ পিচ বারি ১ ও পাকিস্তানী ভেরাকাটা মাল্টার চারা রোপন করে করে আর পিছু তাকাতে হয়নি।
তিনি আরো বলেন, গ্রামের লোকেরা পিছনে পিছনে কান কথা বলত। কারো কথা আমি শুনেনি। নিজের পরীশ্রমের স্পৃহা দিয়ে আজ আমি সফল একজন বাগান মালিকে রুপান্তরিত হয়েছি।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকার্ত মোঃ আরিফ সোলায়মান মজুমদার বলেন, আমি তাকে সার্বিক কারিগরি পরামর্শ দিয়ে বাগান সঠিকভাবে বাস্তবায়নে উদ্ভুদ্ধ করি। উক্ত উদ্যোক্তা একজন শিক্ষিত যুবক হওয়ায় বেশ সফল ।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন,এর আগেও আমরা তার প্রতিটি বাগান পরিদর্শন করেছি। মাল্টার বাগান দেখে আমি অত্যান্ত বিমোহিত। তার মতো একজন উদ্যোক্তা এলাকার স্থানীয়দের পূষ্টি চাহিদা মিটাবে কল্পনাই করা যায় না। আমরা দ্বীন মোঃ শামীম কে ভবিষ্যতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com